Showing posts with label আন্তর্জাতিক. Show all posts
Showing posts with label আন্তর্জাতিক. Show all posts

Friday, 9 May 2025

২০৪৫ সালের মধ্যে প্রায় পুরো সম্পত্তি দান করবেন বিল গেটস


 

এই অর্থ বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে পোলিও ও ম্যালেরিয়া নির্মূল, মা ও শিশুমৃত্যু হ্রাস এবং দারিদ্র্য কমানোর মতো উদ্যোগে ব্যবহার করা হবে।

আগামী ২০ বছরের মধ্যে ২০০ বিলিয়ন অর্থাৎ ২০ হাeজার কোটি ডলার দান করার ঘোষণা দিয়েছেন মাইক্রোসফটের সহ-প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস। এই অর্থ বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে পোলিও ও ম্যালেরিয়া নির্মূল, মা ও শিশুমৃত্যু হ্রাস এবং দারিদ্র্য কমানোর মতো উদ্যোগে ব্যবহার করা হবে। বৃহস্পতিবার এক সাক্ষাৎকারে এ ঘোষণা দেন তিনি। এ সময় বিশ্বের শীর্ষ ধনী এলন মাস্কের সমালোচনাও করেছেন বিল গেটস।
৬৯ বছর বয়সী এই ধনকুবের জানিয়েছেন, তিনি তার সম্পদের প্রায় পুরোটাই দ্রুত দান করতে চান। এছাড়া পূর্বঘোষিত সময়ের চেয়ে অনেক আগে ২০৪৫ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যেই বন্ধ করে দেয়া হবে গেটস ফাউন্ডেশন। এ বিষয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম রয়টার্সকে তিনি বলেন, মানুষকে সাহায্যের জন্য যে সম্পদ ব্যবহার করা যেতে পারে, তা ধরে রাখার কোনো মানে নেই।
প্রাণঘাতী রোগ ও দুর্ভিক্ষ প্রতিরোধে মার্কিন বৈদেশিক তহবিল সংকোচনের সিদ্ধান্তের পরই এসব কথা বলেন মাইক্রোসফটের সহ-প্রতিষ্ঠাতা। এমনিতেই বেশ কিছুদিন ধরে সরকারের তহবিল বাতিল বা সংকোচন নিয়ে ক্ষুব্ধ ছিলেন তিনি। রয়টার্সকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, বিশ্বের শীর্ষ ধনীর কারণে পৃথিবীর দরিদ্রতম শিশুদের মৃত্যুর বন্দোবস্ত হওয়ার দৃশ্য নিশ্চয়ই সুখকর কিছু নয়।

মার্কিন সরকারের তহবিলে বাতিল, সংকোচন বা পরিবর্তনের বিষয়গুলো দেখভাল করছেন এলন মাস্ক। মূলত তার পরামর্শেই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মাস্কের পরামর্শেই সহায়তা সংস্থা ইউএসএআইডির ৮০ শতাংশ কর্মসূচিতে বরাদ্দ বাতিল বা সংকুচিত হতে যাচ্ছে। ২০২৩ সালের হিসাবে দেখা গেছে, সংস্থাটি বিশ্বজুড়ে ৪ হাজার ৪০০ কোটি ডলার ব্যয় করেছে।

এক সময় বিল গেটস এবং টেসলা ও স্পেসএক্সের প্রধান এলন মাস্ক দরিদ্রদের সহায়তার বিষয়ে একমত ছিলেন। তবে সম্প্রতি তারা একাধিকবার দ্বন্দ্বে জড়িয়েছেন। এদিকেম বিল গেটসের সাক্ষাৎকার প্রকাশ হতেই চটেছেন এলন মাস্ক। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সের এক ভিডিও পোস্টে বিল গেটসকে 'বড় মাপের মিথ্যাবাদী' বলে অভিহিত করেছেন এলন মাস্ক। তবে এ বিষয়ে মাস্কের মুখপাত্রদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
সাবেক স্ত্রী মেলিন্ডা ফ্রেঞ্চ গেটসকে সঙ্গে নিয়ে ২০০০ সালে গেটস ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেন বিল গেটস। পরে এতে যুক্ত হন বিনিয়োগকারী ওয়ারেন বাফেট। এ পর্যন্ত ফাউন্ডেশনটি প্রায় ১০ হাজার কোটি ডলার ব্যয় করেছে। যার মাধ্যমে গ্যাভি ও গ্লোবাল ফান্ডের মতো উদ্যোগে কোটি কোটি মানুষের জীবন রক্ষা পেয়েছে। এই দাতব্য সংস্থার মাধ্যমে নিজের ৯৯ শতাংশ সম্পদ বিলিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিল গেটস।

Saturday, 3 May 2025

পাকিস্তান সেনাবাহিনীর জরুরি বৈঠক, এলো কড়া হুঁশিয়ারি


 

কাশ্মীরের পেহেলগামে হামলার ইস্যুতে দিল্লি-ইসলামাবাদ সম্পর্কে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। এরই মধ্যে জরুরি বৈঠক করেছে পাকিস্তান সেনাবাহিনী।

শুক্রবার (২ মে) দেশটির সেনাপ্রধান জেনারেল সৈয়দ আসিম মুনিরের নেতৃত্বে স্পেশাল কর্পস কমান্ডার্স কনফারেন্সে (সিসিসি) এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। 

জিও নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, পাকিস্তান সেনাবাহিনীর শীর্ষ পর্যায়ের এই বৈঠকে ভূ-রাজনৈতিক পরিবেশ, পাকিস্তান-ভারত চলমান উত্তেজনা এবং বিস্তৃত আঞ্চলিক নিরাপত্তা পরিস্থিতির ওপর বিশেষ আলোচনা হয়েছে। 
বৈঠকে অংশগ্রহণকারীরা ভারতের যেকোনো আগ্রাসনের বিরুদ্ধে দেশের সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষায় পাকিস্তান সশস্ত্র বাহিনীর অটল সংকল্প পুনর্ব্যক্ত করেন। সেইসঙ্গে পেহেলগাম ইস্যুতে ভারত যুদ্ধ পরিস্থিতি সৃষ্টি করলে তার দাঁত ভাঙা জবাব দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। 

এ ছাড়া যেকোনো মূল্যে পাকিস্তানি জনগণের সম্মান বজায় রাখার অঙ্গীকার করেছে সেনা সদস্যরা। 
বৈঠকে পাকিস্তান সেনাপ্রধান সশস্ত্র বাহিনীর অটল পেশাদারিত্ব, অটুট মনোবল ও অপারেশনাল প্রস্তুতির প্রশংসা করেন। তিনি সব সীমান্তে বাড়তি সতর্কতা ও সক্রিয় প্রস্তুতির অত্যন্ত জরুরি প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
গত ২২ এপ্রিল পেহেলগামে হামলায় পাকিস্তানকে দোষারোপ করছে ভারত। তবে হামলায় জড়িত থাকার কথা শুরু থেকেই অস্বীকার এবং একটি বিশ্বাসযোগ্য ও স্বচ্ছ তদন্তে অংশ নেওয়ার প্রস্তাব দিয়ে আসছে ইসলামাবাদ। তারপরেও পাকিস্তানকে দায়ী করে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে ভারত। আটারি সীমান্ত বন্ধ করে দিয়ে পাকিস্তানিদের ফিরে যেতে বলা হয়েছে। সব ধরনের বাতিল হয়েছে ভিসা। সিন্ধু নদের পানিবণ্টন চুক্তি স্থগিতও করেছে ভারত।

পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে একই ধরনের পদক্ষেপ দিয়েছে পাকিস্তানও। সিন্ধু নদের পানিবণ্টন চুক্তি স্থগিতে ভারতের সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তান সিমলা চুক্তি স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছে। এ ছাড়া পাকিস্তানের আকাশসীমা নিষিদ্ধ, সব ধরনের বাণিজ্য বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে ইসলামাবাদ।
পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী খাজা আসিফ হুঁশিয়ার করে বলেন, যদি পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়, আমাদের থামাতে কেউ পারবে না। মোদি যদি উত্তেজনা বাড়ানোর পথ বেছে নেন, তবে আমরা তাকে তার বাড়ি পর্যন্ত ধাওয়া করব। আমরা আমাদের বাহিনীকে আরও শক্তিশালী করেছি। কারণ এখন সামরিক আক্রমণ আসন্ন।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, পেহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার পর থেকে প্রতিটি ভারতীয় নাগরিকের ‘রক্ত ফুটছে’। হামলায় জড়িত প্রত্যেককে কঠিনতম শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে। শুধু তাই নয়, সীমান্তে যেকোনো ধরনের হুমকি মোকাবিলায় নিজের তিন বাহিনীকে অভিযানের পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়ে দিয়েছেন মোদি। 
বিশ্লেষক এবং কূটনীতিকরা বলছেন, পাকিস্তান যে কাশ্মীরে হামলা চালিয়েছে, তার জোরালো প্রমাণ এখনও দেখাতে পারেনি ভারত। এ অবস্থায় দিল্লি কোনো পদক্ষেপ নিলে বিশ্ব মঞ্চে তার ন্যায্যতা পাওয়ার সম্ভাবনা কম। তবে, পারমাণবিক অস্ত্রে সজ্জিত ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে চমলান সামরিক সংঘর্ষের আশঙ্কা যদি বাড়তে থাকে তাহলে তা নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হতে পারে। 

কাশ্মীরে মাদরাসা বন্ধ, দুই মাসের খাবার মজুদের নির্দেশ


 পেহেলগামে সাম্প্রতিক আত্মঘাতী হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্ক আরও টানটান। নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলওসি) বরাবর চলছে প্রতিদিন গোলাগুলি, পরিস্থিতি ক্রমেই জটিল হয়ে উঠছে।ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সেনাবাহিনীকে ‘পূর্ণ স্বাধীনতা’ দিয়ে দিয়েছেন, অন্যদিকে পাকিস্তান সীমান্তে শুরু হয়েছে বড় পরিসরের সামরিক মহড়া। এমন উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে আজাদ কাশ্মিরের প্রধানমন্ত্রী চৌধুরী আনোয়ারুল হক সীমান্তবর্তী ১৩টি অঞ্চলের বাসিন্দাদের দুই মাসের খাদ্য মজুদ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। এ ছাড়া, জরুরি পণ্যের জন্য গঠিত হয়েছে ১০০ কোটি রুপির তহবিল এবং এলওসি’র কাছে মোতায়েন করা হয়েছে ভারী অস্ত্র ও যন্ত্রপাতি।

সর্বশেষ পরিস্থিতিতে আরও উদ্বেগ বাড়িয়েছে ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিয়ে নেওয়া সিদ্ধান্ত। সম্ভাব্য নিরাপত্তা হুমকির কথা মাথায় রেখে কাশ্মীর অঞ্চলের সব মাদরাসা ১০ দিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। যদিও সরকারিভাবে গরমের কারণ দেখানো হচ্ছে, ধর্মীয় দপ্তরের কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন, সিদ্ধান্তটি মূলত নিরাপত্তা বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে।

Wednesday, 23 April 2025

আবারও জেলেনস্কিকে তিরস্কার করলেন ট্রাম্প


 

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ক্রিমিয়ার ওপর রাশিয়ার দখল মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানানোয় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অভিযোগ করেছেন, শান্তি আলোচনাকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য মি. জেলেনস্কিই দায়ী।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ট্রুথ সোশালে ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন যে রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যে চলমান যুদ্ধ বন্ধের জন্য শান্তি চুক্তি আলোচনা অনেকটাই এগিয়েছিলো। কিন্তু ভলোদিমির জেলেনস্কি যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবকে প্রত্যাখ্যান করে এই যুদ্ধকে আরও দীর্ঘায়িত করবেন।
এর আগে, মার্কিন ভাইস-প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত শান্তি চুক্তির একটি রোডম্যাপ তুলে ধরেন। তিনি বলেন, এটি দুই পক্ষকেই একটি সমঝোতায় পৌঁছাতে বাধ্য করবে।
মি. ভ্যান্স আরও জানান, "রাশিয়া ও ইউক্রেন—উভয়কেই কিছু কিছু অঞ্চল ছাড়তে হবে।"
তবে কার কোন ভূখণ্ডকে ছাড় দিতে হবে, সে ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট কিছু জানায়নি মার্কিন প্রশাসন।

‘ইতিহাসের সবচেয়ে বড় প্রতারণা’: হিটলারের ডায়েরি কীভাবে ব্রিটিশ গণমাধ্যমকে বোকা বানিয়েছিল


 

এপ্রিল ১৯৮৩। জার্মান সাময়িকী ‘স্টার্ন’ ও ব্রিটিশ পত্রিকা ‘দ্য সানডে টাইমস’ দাবি করে, শতাব্দীর সবচেয়ে অসাধারণ ঐতিহাসিক আবিষ্কারের একটি করেছে তারা। প্রকৃতপক্ষে এটি ছিল শতাব্দীর সবচেয়ে বড় প্রতারণা বা ঠকবাজির একটি। আর এ কেলেঙ্কারির ফলে কোটি কোটি টাকার ক্ষতি ও সুনাম নষ্ট হয়। গ্রেপ্তার হন খ্যাতিমান পত্রিকার এক সাংবাদিক। চাকরি হারাতে হয় কয়েকজন সম্পাদককেও।
৪২ বছর আগে ১৯৮৩ সালের ২৫ এপ্রিল নামকরা জার্মান পত্রিকা স্টার্ন সবার আগে এমন সংবাদ প্রকাশ করে, যা তাদের মতে ইতিহাসের সবচেয়ে চমকপ্রদ খবর। সেটি হলো, জার্মানির স্বৈরশাসক অ্যাডলফ হিটলারের অজানা ব্যক্তিগত বেশ কয়েকটি ডায়েরি খুঁজে পাওয়ার কথা। সারা বিশ্বে ‘এ অসাধারণ এক্সক্লুসিভ খবর’ ছড়িয়ে দিতে হামবুর্গে একই দিন একটি সংবাদ সম্মেলনও আয়োজন করে সংবাদভিত্তিক সাপ্তাহিকীটি। সত্যিই সংবাদটি বিশ্বজুড়ে শিরোনাম হয়ে ওঠে। তবে তারা যেভাবে আশা করেছিল, সেভাবে নয়।
এ ঘটনার তিন দিন আগে স্টার্নের লন্ডন সম্পাদক পিটার উইকম্যান বিবিসিকে বলেন, তাঁরা ‘একেবারেই নিশ্চিত’, তাঁরা হিটলারের আসল ডায়েরিগুলো হাতে পেয়েছেন। তিনি বলেন, ‘এ নিয়ে শুরুতে আমরা সন্দেহে ছিলাম। কিন্তু আমাদের একজন গ্রাফোলজিস্ট সেগুলো দেখছেন, আমাদের একজন বিশেষজ্ঞ কাগজপত্রগুলো পরীক্ষা করেছেন। অধ্যাপক ট্রেভর–রোপারের মতো ইতিহাসবিদদেরও তা দেখিয়েছি আমরা। সবাই সম্মত হয়েছেন, এগুলো আসল।’

Tuesday, 22 April 2025

বিশ্বকে পেস্তা সংকটে ফেলেছে ভাইরাল দুবাই চকোলেট!


 

বিশ্বব্যাপী পেস্তার ঘাটতির জন্য ভাইরাল ‘দুবাই চকোলেট’ ট্রেন্ডকে দোষারোপ করা হতে পারে! নাফেহ, পেস্তা ক্রিম এবং তাহিনি স্প্রেড দিয়ে ভরা জনপ্রিয় মিল্ক চকোলেট বারটি মূলত ২০২১ সালে দুবাই-ভিত্তিক ফিক্স ডেজার্ট চকোলেটিয়া চালু করেছিল।
ব্রিটিশ-মিশরীয় উদ্যোক্তা সারা হামুদা যখন তার স্বামী ইয়েজেন আলানির সাথে ব্যবসা শুরু করেছিলেন তখন তিনি তার গর্ভাবস্থার নিজের পছন্দের খাবার থেকে অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন। 

২০২৩ সালের মধ্যে মারিয়া ভেহেরার চকোলেট খাওয়ার একটি টিকটক ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায়। মিষ্টি খাবারের চাহিদা আকাশচুম্বী হয়ে ওঠে।
মূল ভিডিওটি ১২০ মিলিয়নেরও বেশি ভিউ হয়। ফলে এর আবেশ ছড়িয়ে পড়ে।
নিঃসন্দেহে, এটিই আন্তর্জাতিকভাবে পেস্তা বাদামের ঘাটতির কারণ হতে পারে। এই পেস্তার বেশিরভাগই যুক্তরাষ্ট্র বা ইরানে উৎপাদিত হয়।
সিজি হ্যাকিংয়ের বাদাম ব্যবসায়ী জাইলস হ্যাকিং দ্য ফিনান্সিয়াল টাইমসকে বলেছেন, এক বছরের মধ্যে প্রতি পাউন্ডে দাম ৭.৬৫ মার্কিন ডলার থেকে বেড়ে ১০.৩০ মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। তিনি বলেন, এই মুহূর্তে পেস্তার জগৎ মূলত সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে গেছে।
শুধুমাত্র দুবাই চকলেটই বিশ্বে ঝড় তুলেছে তা নয়। গত বছর যুক্তরাষ্ট্রে পেস্তার খারাপ ফলনও এ জন্য দায়ী।
হ্যাকিং বলেন, সরবরাহ খুব বেশি ছিল না, তাই যখন দুবাই চকলেট আসে, এবং চকোলেট প্রস্তুতকারকরা তাদের হাতে থাকা সমস্ত কার্নেল কিনে নেয়... যার ফলে বিশ্বের বাকি অংশে এর অভাব দেখা দেয়। 
ইরানের কাস্টমস অফিসের মতে, মার্চ পর্যন্ত ছয় মাসে ইরানি উৎপাদকরা সংযুক্ত আরব আমিরাতে আগের তুলনায় ৪০ শতাংশ বেশি বাদাম রপ্তানি করেছে।
ইরান পেস্তা অ্যাসোসিয়েশনের বোর্ড সদস্য বেহরুজ আগাহ দ্য ফিনান্সিয়াল রিভিউকে বলেন, ২০২৩ সালে চাহিদার চেয়ে পেস্তার সরবরাহ বেশি ছিল। যার ফলে দাম কমে গিয়েছিল। তিনি বলেন, বিভিন্ন ধরণের উপজাত পাওয়া যায় যেমন পেস্তা মাখন, তেল এবং পেস্ট, যা বিস্তৃত পরিসরে পেস্তা-ভিত্তিক খাবারে ব্যবহার করা যেতে পারে। এটা প্রায় একই সময়ে দুবাই চকলেট বাজারে আসে এবং ধীরে ধীরে বিশ্বব্যাপী ভাইরাল হয়।

সংগৃহীত

Sunday, 20 April 2025

কচ্ছপের মাংস খাচ্ছে গাজা বাঁশি



 

এমন মৃত্যু চাই যা গোটা বিশ্ব দেখবে বিয়ের আগের দিন ইসরায়েলি হামলায় মারা গেলেন গাজার নারী সাংবাদিক


 শৈশব থেকেই তিনি যুদ্ধমৃত্যুরক্তপাতস্বজনহারানো কান্না দেখে অভ্যস্ত। ভয়ঙ্কর এক আবহের মধ্যে বেড়ে উঠতে উঠতে পরবর্তীকালে সেই দৃশ্য এবং ঘটনাগুলোকেই বিশ্বের দরবারে পৌঁছে দেওয়ার কাজও নিয়ে ফেলেন বছর পঁচিশের তরুণী। তিনি গাজার চিত্র সাংবাদিক ফতিমা হাসৌনা। সমপ্রতি ইসরায়েলি বিমান হামলায় মৃত্যু হয়েছে তার।

প্রতি মুহূর্তে মৃত্যুকে সঙ্গী করে চলা ফতিমা জানতেনআজ নয় তো কাল মৃত্যু অবধারিত। কিন্তু থেমে থাকেননি তিনি। নিজের লক্ষ্যে অবিচল থেকে ছুটে গিয়েছেন গাজার এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত। মৃত্যুর কয়েক দিন আগেই ফতিমা সমাজমাধ্যমে একটি লেখা পোস্ট করেছিলেন। সেখানে তিনি লেখেনআমার যদি মৃত্যু হয়তা যেন শুধু ব্রেকিং নিউজের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থাকে। অথবা মৃতের তালিকায় নিছকই একটি সংখ্যা হয়ে না থাকে। আমি এমন মৃত্যু চাই যা গোটা বিশ্ব দেখবে। গোটা বিশ্বে যার প্রভাব পড়বে। যা শুধু সময় আর স্থানের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না।

দুর্ভাগ্যজনকভাবে গত বুধবার তার সেই ‘ইচ্ছাপূরণ’ হয়েছে। ইসরায়েলি বিমান হামলায় উত্তর গাজায় নিজের বাড়িতেই মৃত্যু হয় সাংবাদিকের। ঘটনাচক্রেএর পরদিন বৃহস্পতিবার ছিল তার বিয়ে। এই হামলায় ফতিমা এবং তার পরিবারের দশ জন সদস্যের মৃত্যু হয়। মৃত্যু হয়েছে তাঁর অন্তঃসত্ত্বা বোনেরও।

উল্লেখ্যগাজায় ইজরায়েলি হানা এবং তার জীবনীর উপর একটি তথ্যচিত্র ফ্রান্সের ফিল্মোৎসব এবং কানের একটি ফিল্মোৎসবে দেখানো হবে বলে ফতিমার মৃত্যুর ২৪ ঘণ্টা আগে ঘোষণা করা হয়।

যুদ্ধ বন্ধে পূর্ণাঙ্গ চুক্তির আলোচনা চায় হামাস |


 গাজাযুদ্ধ বন্ধ ও জিম্মি বিনিময়ের ক্ষেত্রে ইসরায়েলের সঙ্গে পূর্ণাঙ্গ চুক্তির আলোচনা চায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। ইসরায়েলের দেওয়া অন্তর্বর্তীকালীন যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রস্তাব প্রত্যাখান করে গাজায় হামাসের প্রধান খলিল আলহায়া এ কথা বলেছেন। টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে খলিল আলহায়া বলেনহামাস আর অন্তর্বর্তীকালীন চুক্তিতে সম্মত হবে না। সংবাদমাধ্যম রয়টার্স জানিয়েছেহামাসের এই অবস্থান ইসরায়েল মেনে নেবে না ও গাজায় তেল আবিবের সামপ্রতিক অভিযান আরও দীর্ঘায়িত হবে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে।

আলোচনার ক্ষেত্রেও নেতৃত্ব দেওয়া হায়া বলেনগাজা যুদ্ধের অবসানইসরায়েলের হাতে বন্দি ফিলিস্তিনিদের মুক্তি ও গাজার পুনর্গঠনের বিনিময়ে হামাস তাদের হেফাজতে থাকা বাকি সকল জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার জন্য শিগগির আলোচনায় অংশগ্রহণ করতে প্রস্তুত। তিনি বলেনবেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ও তার সরকার নিজেদের রাজনৈতিক এজেন্ডার ঢাল হিসেবে এসব আংশিক চুক্তিগুলোকে ব্যবহার করছেসব জিম্মিকে বলি দিয়ে হলেও তারা এটা করতে চায়। আমরা এই নীতি বাস্তবায়নের অংশ হতে চাই না। খবর জাগোনিউজের।

চলতি বছরের জানুয়ারিতে হামাস ও ইসরায়েল যে যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছেছিল গত মাসে তা ভেঙে যায়। মিশরের মধ্যস্থতাকারীরা এখনও জানুয়ারিতে হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তি পুনরুজ্জীবনে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেনতবে তা সফল হওয়ার সম্ভাবনা কম। যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জেমস হিউইট বলেছেনহামাসের মন্তব্য প্রমাণ করে যে তারা শান্তিতে নয় বরং চিরস্থায়ী সহিংসতায় আগ্রহী। ট্রাম্প প্রশাসনের শর্ত বদলায়নি জিম্মিদের মুক্তি দাওনতুবা নরকের মুখোমুখি হও। অন্যদিকে যুদ্ধবিরতি পুনরুজ্জীবিত করা ও ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তির লক্ষ্যে সোমবার কায়রোতে হওয়া সর্বশেষ রাউন্ডের আলোচনায় কোনো ধরনের সমঝোতাই হয়নি।

Saturday, 19 April 2025

হুতির হামলায় বিপাকে যুক্তরাষ্ট্র





 



                  

Tuesday, 15 April 2025

ট্রাম্প নামটি অবমাননাকর ও অসম্মানজনকভাবে উপস্থাপন করে সিবিএস


 

ইউক্রেন ও গ্রিনল্যান্ড নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করায় মার্কিন টেলিভিশন নেটওয়ার্ক সিবিএসের ওপর আবার চটেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সিবিএসের সংবাদ সম্প্রচার ম্যাগাজিন ‘৬০ মিনিটস’–এ সম্প্রচারিত ওই প্রতিবেদনের জন্য গণমাধ্যমটিকে ‘চরম মূল্য’ দিতে হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন তিনি।

স্থানীয় সময় গত রোববার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এবং ইউক্রেন যুদ্ধ ও গ্রিনল্যান্ড ইস্যুতে দুটি প্রতিবেদন সম্প্রচার করে ৬০ মিনিটস।

প্রতিবেদনটি সম্প্রচারের পরপরই ট্রাম্প তাঁর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে ওই প্রতিবেদনের তীব্র সমালোচনা করে পোস্ট দেন। প্রতিবেদনে তাঁকে নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

ট্রাম্প বলেন, প্রায় প্রতি সপ্তাহেই ট্রাম্প নামটি অবমাননাকর ও অসম্মানজনকভাবে উপস্থাপন করে ৬০ মিনিটস। এবার তো তারা সব সীমা ছাড়িয়ে গেছে। এ কাজের জন্য তাদের কড়া মাশুল গুনতে হবে।

ধরনের বেআইনি ও অবৈধ কার্যকলাপের জন্য চ্যানেলটিকে জরিমানা ও শাস্তির আওতায় আনতে ফেডারেল কমিউনিকেশনস কমিশনের (এফসিসি) চেয়ারম্যান ব্রেনডান কারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ট্রাম্প।

ট্রাম্প বলেন, ৬০ মিনিটস এখন আর কোনো সংবাদ প্রচারের অনুষ্ঠান নয়। এটি রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য সংবাদ মাধ্যমের ‘লেবাসধারী’। আগে যা করেছে কিংবা এখন যা করছে, সবকিছুর জন্যই তাদের জবাবদিহি করতে হবে।

তবে ট্রাম্পের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া নিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কিছু জানায়নি সিবিএস নেটওয়ার্ক।

এর আগে গত বছরের ৩১ অক্টোবর সিবিএসের বিরুদ্ধে এক কোটি ডলারের মামলা করেছিলেন ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নির্বাচনে প্রচারের সময় তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী কমলা হ্যারিসের বক্তব্য সম্পাদনা করে সম্প্রচার করায় এই মামলা করেছিলেন তিনি।

ট্রাম্পের দাবি, কমলাকে ‘ভালো’ দেখাতে ইচ্ছাকৃতভাবে সম্পাদনা করে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সিবিএস। যদিও ট্রাম্পের এই দাবি নাকচ করে এসেছে নেটওয়ার্কটি।

এই মামলার বিষয়ে একটি সমঝোতায় আসতে ট্রাম্পের আইনজীবী ও নেটওয়ার্কটির কর্মকর্তাদের মধ্যে আলোচনার কানাঘুষা চলছে। এরই মধ্যে আবার চটে গেলেন ট্রাম্প।

মামলার সুরাহা না হলেও দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে প্রতিনিয়তই ট্রাম্প প্রশাসন সম্পর্কে নানা প্রতিবেদন প্রকাশ করা হচ্ছে ৬০ মিনিটস নামের প্রোগ্রামে। বিশেষত সাংবাদিক স্কট পেল্লি একের পর এক সংবাদ প্রকাশ করেই যাচ্ছেন।

সম্প্রতি ইউক্রেন সফরে যান স্কট। রাশিয়ার হামলায় ৯ শিশু নিহত হয়েছে—এমন একটি জায়গা পরিদর্শন করে সেখানেই ভলোদিমির জেলেনস্কির সাক্ষাৎকার নেন তিনি।

সাক্ষাৎকারে রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের ওপর তাঁর তীব্র ঘৃণার কথা জানান জেলেনস্কি। এ সময় ইউক্রেনে এসে রাশিয়ার বর্বরতা দেখে যেতেও ট্রাম্পকে আহ্বান জানান তিনি।

গ্রিনল্যান্ডে গিয়ে রোববার আরেকটি প্রতিবেদন সম্প্রচার করেন সাংবাদিক জন ওরথহেইম। ট্রাম্পের গ্রিনল্যান্ড দখল করা সম্পর্কে দ্বীপটির কয়েকজনের বক্তব্য প্রকাশ করা হয় ওই প্রতিবেদনে।

ইসরায়েলিদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করলো মালদ্বীপ


 ইসরায়েলি নাগরিকদের প্রবেশে আইন জারি করে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে মালদ্বীপ। দেশটির প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জু আইনটি অনুমোদন দিয়েছেন।

মঙ্গলবার মালদ্বীপের সংসদে আইনটি পাস হয়েছে। ফিলিস্তিনিদের প্রতি ‘দৃঢ় সংকল্পের’ অংশ হিসেবে এমন উদ্যোগ নিয়েছে দেশটি।

মোহাম্মদ মুইজ্জু বিবৃতিতে বলেছেন, ‘নতুন আইনটির অনুমোদন ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের অব্যাহত নৃশংসতা এবং গণহত্যার বিরুদ্ধে সরকারের দৃঢ় অবস্থানকে প্রতিফলিত করে।’ 

তিনি আরও বলেছেন, ‘ফিলিস্তিনিদের লড়াইয়ের প্রতি মালদ্বীপ তার দৃঢ় সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করছে।’

এর আগে গত বছরের জুনে ইসরায়েলিদের মালদ্বীপে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছিলেন মালদ্বীপ প্রেসিডেন্ট। ওই সময় ইসরায়েলিদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিতে করণীয় ঠিক করতে কমিটি ঠিক করা হয়। সব প্রক্রিয়া শেষে আজ আইনটি আনুষ্ঠানিকভাবে দেশটির সংসদে তোলা হয়। সংসদে পাস হওয়ার পর কোনো বিলম্ব না করেই আইনটির অনুমোদন দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জু।

সূত্র : এএফপি।

Monday, 14 April 2025

১০ বছরে দুবাইয়ে ধনীদের সংখ্যা বেড়েছে ১০২ শতাংশ


 আকাশচুম্বী ভবন ও বিলাসবহুল জীবনযাত্রার জন্য বিখ্যাত সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই এখন সম্পদশালীদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। গত এক দশকে শহরটিতে মিলিয়নিয়ারের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যহারে বৃদ্ধি পেয়েছে। তারা এটিকে নিজেদের বাড়ি হিসেবে বেছে নিচ্ছেন। বলা হয়েছেগত দশ বছরে দুবাইতে মিলিয়নিয়ারের সংখ্যা ১০২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২৪ সালে শহরটিতে ৮১ হাজার ২০০ মিলিয়নিয়ার২৩৭ সেন্টিমিলিয়নিয়ার ও ২০ জন বিলিয়নিয়ার পাওয়া গেছে। যেখানে ২০১৪ সালে এই সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ৪০ হাজার২১২ এবং ১৫ জন। নিউ ওয়ার্ল্ড ওয়েলথের বিশ্লেষণে বলা হয়েছেদুবাইয়ের অল্প কর নীতিনিরাপদ পরিবেশ ও শক্তিশালী অর্থনীতি বিশ্বজুড়ে ধনী ব্যক্তিদের আকৃষ্ট করছে। এটি ব্যবসা শুরু ও বিনিয়োগের জন্য একটি আদর্শ স্থান হয়ে উঠেছে। দুবাই বিশ্বব্যাপী দ্রুততম বর্ধনশীল সম্পদের কেন্দ্রবিন্দুগুলোর মধ্যে একটি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। প্রতিবেদনে দুবাইয়ের আধুনিক অবকাঠামোউচ্চমানের স্বাস্থ্যসেবাউচ্চমানের শিক্ষা এবং অবসর সুযোগসুবিধার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। অন্যদিকে ধনীরা লন্ডন ছাড়ছেন। এই সংখ্যাটি খুব কম বা ডজন ডজন নয়বরং হাজার হাজার। শুধু ২০২৪ সালেই ১১ হাজারের বেশি মিলিয়নিয়ার লন্ডন থেকে অন্য কোথাও চেলে গেছেন। এই প্রস্থানের পেছনে গুরুত্বপূর্ণ কারণ হলো ক্রমবর্ধমান কর২০০৮ সালের আর্থিক সংকট থেকে সম্পূর্ণরূপে পুনরুদ্ধারে ব্যর্থতা ও ব্রেক্সিট।

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরও ৪০ ফিলিস্তিনি নিহত

 

ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর বর্বর হামলায় প্রতিদিনই বাড়ছে হতাহতের সংখ্যা, ধ্বংসস্তূপে পরিণত হচ্ছে ঘরবাড়ি। শুধুমাত্র গত ২৪ ঘণ্টায় গাজার বিভিন্ন স্থানে ইসরায়েলের আক্রমণে অন্তত ৪০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও শতাধিক। 

এর ফলে অবরুদ্ধ এই উপত্যকাটিতে নিহতের মোট সংখ্যা প্রায় ৫০ হাজার ৯০০ জনে পৌঁছে গেছে। গত ১৮ মার্চ গাজায় নতুন করে ইসরায়েলি হামলা শুরু হওয়ার পর থেকে ১৫০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। 

বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

বার্তাসংস্থাটি বলছে, গাজা উপত্যকায় গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে আরও ৪০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যার ফলে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের গণহত্যামূলক আগ্রাসনে ভূখণ্ডটিতে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫০ হাজার ৮৮৬ জনে পৌঁছেছে বলে বৃহস্পতিবার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।

মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি আক্রমণে আহত হওয়া আরও ১৪৬ জনকে গাজার বিভিন্ন হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। এর ফলে সংঘাতের শুরু থেকে আহতের সংখ্যা বেড়ে ১ লাখ ১৫ হাজার ৮৭৫ জনে পৌঁছেছে। অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় পড়ে থাকলেও উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারেননি।

দীর্ঘ ১৫ মাস সামরিক অভিযানের পর যুক্তরাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপে গত ১৯ জানুয়ারি গাজায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় ইসরায়েল। তারপর প্রায় দু’মাস গাজায় কম-বেশি শান্তি বজায় ছিল; কিন্তু গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহারের প্রশ্নে হামাসের মতানৈক্যকে কেন্দ্র করে মার্চ মাসের তৃতীয় গত সপ্তাহ থেকে ফের গাজায় বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, গত ১৮ মার্চ থেকে গাজায় নতুন করে শুরু হওয়া ইসরায়েলি বিমান হামলায় এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৫২২ ফিলিস্তিনি নিহত এবং আরও ৩ হাজার ৮০০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। ইসরায়েলের বর্বর এই হামলা চলতি বছরের জানুয়ারিতে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভেঙে দিয়েছে।

জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছিলেন। এছাড়া অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।

এর আগে গত বছরের নভেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত গাজায় যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এবং তার সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।

অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে আগ্রাসনের জন্য আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার মামলার মুখোমুখিও হয়েছে ইসরায়েল।

Tuesday, 8 April 2025

গাজায় ইসরায়েলের বোমাবর্ষণ চলছেই, আরও অর্ধশতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত












 ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি হামলা অব্যাহত রয়েছে। গত রোববার রাতভর বোমাবর্ষণে আরও অর্ধশতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। গতকাল সোমবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

কাতারভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছেগাজার মধ্যাঞ্চল দেইর আলবালাহের পাঁচটি এলাকায় ব্যাপক বোমাবর্ষণ করেছে ইসরায়েল। এই হামলার বেশ কয়েকজন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেনযার মধ্যে একজন সাংবাদিকও রয়েছেন। এর আগে বাসিন্দাদের ওই এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেয় ইসরায়েলি বাহিনী। খবর বাংলানিউজের।

এছাড়া একটি মেডিকেল সূত্রের বরাতে বার্তাসংস্থা আনাদোলু জানিয়েছেগাজা শহরের পূর্বে আলনাখিল স্ট্রিটে ইসরায়েলি কামানের গোলাবর্ষণে আট শিশুসহ দশজন নিহত এবং আরও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। আরেকটি মেডিকেল সূত্র জানিয়েছেগাজা শহরের পূর্বে শুজাইয়া পাড়া লক্ষ্য করে বিমান হামলায় তিনজন নিহত হয়েছেন।

এদিকে গাজার জাওয়াইদা এলাকায় একটি বাস্তুচ্যুত শিবিরে ড্রোন হামলায় আরও একজন ফিলিস্তিনি নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। আরেকটি সূত্র জানিয়েছেদক্ষিণাঞ্চলীয় খান ইউনিস শহরে একটি বাড়িতে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান থেকে বোমা ফেললে আটজন নিহত হয়েছেন।

রোববারের নিহতের সংখ্যাসহ গত অক্টোবর থেকে চলমান ইসরায়েলি আগ্রাসনে এ পর্যন্ত ভূখণ্ডটিতে প্রাণহানি প্রায় ৫০ হাজার ৭০০ জনে পৌঁছে গেছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছেগাজায় ইসরায়েলের নির্বিচারে হামলায় কমপক্ষে ৫০ হাজার ৬৯৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহতের সংখ্যা ১ লাখ ১৫ হাজার ৩৩৮ জন। তবে সরকারি মিডিয়া অফিস মৃতের সংখ্যা ৬১ হাজার ৭০০ জনেরও বেশি বলে জানিয়েছে। ধ্বংসস্তূপের নিচে নিখোঁজ হাজার হাজার মানুষকে মৃত বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে।

Monday, 10 March 2025

গাজা নিয়ে আরব পরিকল্পনা বাস্তবসম্মত সমর্থন ইউরোপীয় নেতাদের


 ফিলিস্তিনিদের গাজা থেকে না সরিয়েই ৫ হাজার ৩০০ কোটি ডলার ব্যয়ে ভূখণ্ডটি পুনর্গঠনের যে পরিকল্পনা আরব দেশগুলো করেছে তাতে সমর্থন জানিয়েছে ইউরোপের চার প্রভাবশালী দেশ। খবর বিডিনিউজের।

মিশর প্রস্তাবিত পরিকল্পনা আরব নেতাদের সমর্থন কুড়ালেও ইসরায়েল ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এটি প্রত্যাখ্যান করেছেন। মাসখানেক আগে ট্রাম্প গাজা নিয়ে তার নিজের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিলেন। তিনি চেয়েছিলেনগাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের সরিয়ে শহরটিকে মধ্যপ্রাচ্যের রিভেরায় পরিণত করতে। অন্যদিকে মিশরের প্রস্তাবে ৫ বছরের মধ্যে গাজা পুনর্গঠনের কাজ শেষ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়েছেযাকে বাস্তবসম্মত অ্যাখ্যা দিয়ে ফ্রান্সজার্মানিইতালি ও ব্রিটেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা শনিবার পরিকল্পনাটিকে স্বাগত জানান বলে জানিয়েছে বিবিসি।

এক বিবৃতিতে চার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেনমিশরের প্রস্তাবে গাজার জনগণের বিপর্যস্ত জীবনমানের দ্রুত ও টেকসই উন্নতির প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। আরব নেতাদের সমর্থিত পরিকল্পনায় সাময়িক সময়ের জন্য গাজা পরিচালনার ভার স্বতন্ত্র বিশেষজ্ঞ ও ভূখণ্ডটিতে মোতায়েন আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষীদের একটি কমিটির হাতে তুলে দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। এই কমিটি ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের (পিএতত্ত্বাবধানে মানবিক সহায়তা কার্যক্রম দেখভাল করবে এবং সাময়িকভাবে গাজার দৈনন্দিন বিষয়াদির ব্যবস্থাপনায় থাকবে। এমন এক সময়ে মিশরের এই প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা চলছে যখন গাজার নড়বড়ে যুদ্ধবিরতি চুক্তি যে কোনো সময় ভেঙে পড়তে পারে বলে উদ্বেগ রয়েছে। এই চুক্তির প্রথম ধাপ গত ১ মার্চ শেষ হয়েছে। ইসরায়েল এখন চাইছে প্রথম ধাপের মেয়াদ বাড়াতেযেখানে আরও জিম্মি মুক্তির বিনিময়ে ফিলিস্তিনি বন্দিদের কারাগার থেকে ছাড়া হবে। এ লক্ষ্যে হামাসের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে গাজায় ত্রাণ ঢোকা বন্ধ করে দিয়েছে তারা। তবে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস চাইছেচুক্তির সময়ের সমঝোতা অনুযায়ী প্রথম ধাপের পর দ্বিতীয় ধাপ শুরু করতে। এই পর্বে গাজা থেকে সব ইসরায়েলি সেনা সরিয়ে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি ছিল।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় বলেছেতারা যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানো নিয়ে কথা বলতে সোমবার কাতারে একটি মধ্যস্থতাকারী দল পাঠাচ্ছে। দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি অবস্থানের কারণে চুক্তির দ্বিতীয় ধাপ কখন থেকে শুরু হতে পারে তা নিয়ে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছে। তবে হামাসের মুখপাত্র আবদেল লতিফ আলকানুয়া চলতি সপ্তাহের বৈঠকে ইতিবাচক কিছু মিলতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন। গাজার ভবিষ্যৎ নিয়ে মিশরের বানানোআরবসমর্থিত পরিকল্পনাটি করা হয়েছে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডটি নিয়ে ট্রাম্পের অদ্ভূত এক প্রস্তাবের পর। তার প্রস্তাবে ছিলযুক্তরাষ্ট্র গাজার দখল নিয়ে সেখানকার বাসিন্দাদের মধ্যপ্রাচ্যের অন্যত্র সরিয়ে নেবে এবং সমুদ্রলাগোয়া ভূখণ্ডটির এমন চোখধাঁধানো উন্নয়ন করবে যে সেটি দ্রুতই মধ্যপ্রাচ্যের রিভেরায় পরিণত হবে। সব ফিলিস্তিনি সংগঠন ও আরব নেতারা তার এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে।

Tuesday, 7 January 2025

ট্রাম্পের পরিকল্পনা ভেস্তে দিলেন বাইডেন তেল-গ্যাস উত্তোলনে নিষেধাজ্ঞা


 যুক্তরাষ্ট্রের বেশিরভাগ উপকূলীয় অঞ্চল থেকে তেল ও গ্যাস উত্তোলনে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এর মধ্য দিয়ে তিনি নতুন নতুন জ্বালানি ক্ষেত্র অনুসন্ধানে উৎসাহ যোগানোর ডনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিতে পানি ঢাললেন। নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ক্ষমতা গ্রহণের মাত্র দুই সপ্তাহ আগে বাইডেন এ সিদ্ধান্ত নিলেন। তার এ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা নতুন ট্রাম্প প্রশাসনের জন্য কঠিন হতে পারে। ১৯৫৩ সালের ‘আউটার কন্টিনেন্টাল শেলফ ল্যান্ডস অ্যাক্ট’ এর আওতায় বাইডেন তেল ও গ্যাস উত্তোলন নিষিদ্ধ করেছেন। এ সিদ্ধান্তের পক্ষে যুক্তি দেখিয়ে তিনি এক বিবৃতিতে বলেছেনএ উপকূল খনন করে তেল ও গ্যাস উত্তোলন করলে আমাদের প্রিয় জায়গাগুলোর অপূরণীয় ক্ষতি হবে। আর আমাদের দেশের জ্বালানির চাহিদা মেটাতেও এখন নতুন করে তেল গ্যাস উত্তোলন করা অপ্রয়োজনীয়। তিনি আরও বলেনযেহেতু জলবায়ু সংকট দেশজুড়ে হুমকির কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছেতাই এখন আমাদের সন্তান এবং ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য এই উপকূলগুলো রক্ষা করা প্রয়োজন। খবর বিডিনিউজের।

বিবিসি লিখেছেবাইডেন পুরো আটলান্টিক উপকূল এবং পূর্ব মেক্সিকো উপসাগরের পাশাপাশি ক্যালিফোর্নিয়াওরেগন এবং ওয়াশিংটনের প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপকূল এবং আলাস্কার বেরিং সাগরের একটি অংশজুড়ে তেলগ্যাস উত্তেলনে এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন। ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতা নেওয়ার আগে বাইডেন প্রশাসনের শেষ মুহূর্তে জলবায়ু নীতি নিয়ে গৃহীত পদক্ষেপের মধ্যে এটি সর্বশেষ। অথচ যুক্তরাষ্ট্রে গতবছর ৫ নভেম্বরের নির্বাচনে জয়ী হওয়ার আগে ট্রাম্প তার প্রচারণায় গ্যাসের দাম কমানোর জন্য দেশীয় জীবাশ্ম জ্বালানি উৎপাদন বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।

Monday, 30 December 2024

চীন, রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্রের ‘গ্রেট গেমের’ নতুন মঞ্চ মধ্য এশিয়া


 পরাশক্তির প্রতিদ্বন্দ্বিতা বিশ শতকেই শেষ হয়েছে বলে কেউ কেউ মনে করতেন। কিন্তু ইউক্রেন যুদ্ধে ধ্বংসাবশেষ থেকে সেই প্রতিদ্বন্দ্বিতার পুনর্জন্ম হয়েছে।

এ সংঘাতের তাৎক্ষণিক উত্তাপ একটা পর্যায়ে যাওয়ার পর মধ্য এশিয়া পরাশক্তির প্রতিযোগিতার অন্যতম মঞ্চ হয়ে উঠেছে।

পর্যবেক্ষকেরা দীর্ঘদিন ধরেই এ অঞ্চলের কৌশলগত গুরুত্বের কথা বলে আসছিলেন। ইউক্রেন যুদ্ধপরবর্তী স্বাভাবিকীকরণের যে কালপর্বের কথা বলা হচ্ছে, সেখানে মধ্য এশিয়া এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র, যেখানে রাশিয়া, চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে তাদের স্বার্থ নিয়ে উত্তেজনা বাড়ছে।

পরাশক্তির এ দ্বন্দ্বে মধ্য এশিয়া ভূরাজনৈতিক অন্য সব প্রতিদ্বন্দ্বিতার ক্ষেত্র থেকে আলাদা। কারণ, বর্তমান বিশ্বে তিনটির মধ্যে দুটি পরাশক্তির (চীন ও রাশিয়ার) এ অঞ্চলের দেশগুলোর সঙ্গে বিশাল একটি সীমানা রয়েছে। ফলে এখানে ঝুঁকিটা অনেক বেশি।কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান, তাজিকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান ও উজবেকিস্তান নিয়ে গঠিত মধ্য এশিয়া নিজেকে তাই একটি জটিল সন্ধিক্ষণের মধ্যে দেখতে পাচ্ছে।

ঐতিহাসিকভাবেও মধ্য এশিয়া সাম্রাজ্যগুলোর সন্ধিস্থল। সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে মুক্ত হওয়ার পর প্রতিবেশী বড় শক্তিগুলোর সঙ্গে সূক্ষ্ম ভারসাম্য বজায় রেখে চলেছে।

যাহোক, সামষ্টিক নিরাপত্তার জন্য একটা জোরালো ও স্থানীয় ব্যবস্থাপনা না থাকায় অঞ্চলটিতে নিরাপত্তা নিয়ে একটা ভঙ্গুরতা দেখা দিয়েছে। এখানকার খণ্ডবিখণ্ডিত রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পটভূমি যে ভূরাজনৈতিক শূন্যতা তৈরি করেছে, সেটা পূরণ করতে প্রধান পরাশক্তিগুলোর আগ্রহ বেড়েই চলেছে।

মধ্য এশিয়ায় একটি একীভূত আঞ্চলিক পরিচয় না থাকার যে ঘাটতি, সেটাকে প্রাথমিকভাবে দুর্বলতা বলে মনে হয়। কিন্তু এটা আবার পরাশক্তিগুলোর চলমান প্রতিযোগিতায় চ্যালেঞ্জ ও সুযোগ—দুটিই নিয়ে এসেছে।

পরাশক্তিগুলোর স্বার্থের মধ্যে ভিন্নতা রয়েছে। রাশিয়ার জন্য মধ্য এশিয়া এখনো তার গুরুত্বপূর্ণ প্রভাববলয়ের কেন্দ্র হয়ে রয়েছে। পশ্চিমাদের দিক থেকে আসা হুমকির বিরুদ্ধে মধ্য এশিয়া রাশিয়ার একটা বাফার অঞ্চল। এটি মস্কোর গুরুত্বপূর্ণ ট্রানজিট রুট।

ওয়াশিংটন, বেইজিং ও মস্কোর নীতিনির্ধারকদের অবশ্যই মধ্য এশিয়ার এই গতিশীলতাকে বুঝতে হবে। গঠনমূলক উপায়ে সেখানে সম্পৃক্ত হওয়ার পথ খুঁজতে হবে। সেটা শুধু মধ্য এশিয়ার স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধির জন্য গুরুত্বপূর্ণ নয়, বৃহত্তর ইউরেশিয়ার জন্যও গুরুত্বপূর্ণ।

ইউক্রেন যুদ্ধ মস্কোর সম্পদের ওপর যখন চাপ তৈরি করছে, তখন এই ‘কাছের বিদেশ’ দেশটির অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ও বিকল্প বাণিজ্যপথ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

চীন তার বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের (বিআরআই) মাধ্যমে মধ্য এশিয়াকে তার মহাদেশীয় সংযোগের অপরিহার্য উপাদান বলে মনে করে। চীনের পশ্চিমা অভিমুখী সম্প্রসারণের যে নীতি, সেখানে মধ্য এশিয়া যেমন সম্পদের গুরুত্বপূর্ণ একটি উৎস, আবার কৌশলগত দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ।

মধ্য এশিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের সম্পৃক্ততার বিষয়টি ঐতিহাসিকভাবেই ওঠানামা করেছে। সন্ত্রাসবাদবিরোধী কর্মকাণ্ড, গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থাকে উৎসাহ দেওয়া এবং চীন ও রাশিয়ার প্রভাব কমানো—এ তিন সূত্রে অঞ্চলটিতে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পৃক্ততা নির্ভর করে।
মধ্য এশিয়ায় তিন পরাশক্তির স্বার্থ অভিন্ন নয়। এই স্বার্থের মধ্যে সংঘাত অনিবার্য।

ইউক্রেন যুদ্ধ, চীনের ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক স্বার্থ ও রাজনৈতিক প্রভাবে সাম্প্রতিক বছরগুলোয় রাশিয়ার অবস্থান দুর্বল হয়েছে।

যদিও বর্তমানে রাশিয়া ও চীনের সরকারি পর্যায়ে যে আলাপ-আলোচনা, সেখানে অংশীদারত্বের কথাই জোরেশোরে বলা হচ্ছে। কিন্তু দীর্ঘ মেয়াদে অঞ্চলটিতে চীনের উত্থান মস্কোর অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের বড় উদ্বেগের কারণ হচ্ছে, চীন ও রাশিয়া অঞ্চলটিতে তাদের কর্তৃত্ববাদী মডেলের বিস্তার ঘটাচ্ছে এবং মধ্য এশিয়ায় গণতান্ত্রিক পরিসর সংকুচিত হয়ে আসছে।

অবকাঠামো প্রকল্প, নিরাপত্তা সহযাগিতা এবং এমনকি সাংস্কৃতিক বিনিময়ের মতো বিষয়গুলো পরাশক্তিগুলোর কর্তৃত্ব প্রদর্শনের ক্ষেত্র হয়ে উঠেছে। এ অবস্থায় মধ্য এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে একটি শক্তিশালী আঞ্চলিক রূপরেখা প্রয়োজন। সেটির অভাবে মধ্য এশিয়া পরাশক্তিগুলোর ‘গ্রেট গেমের’ মঞ্চ হয়ে ওঠার ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে।
এসব চ্যালেঞ্জের মধ্যে সম্ভাবনাও তৈরি হচ্ছে। ‘সিফাইভ প্লাস ওয়ান’ সে রকমই একটি প্ল্যাটফর্ম। এটা মধ্য এশিয়ার পাঁচটি দেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের একটি কূটনৈতিক প্ল্যাটফর্ম।

এখানে নমনীয় একটি নীতির মাধ্যমে প্রতিটি দেশকেই তার প্রয়োজনীয়তা ও স্বার্থ অনুযায়ী বিদেশি শক্তিগুলোর সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়ার সুযোগ রাখা হয়েছে।

মধ্য এশিয়া পরাশক্তির প্রতিযোগিতার নিছক একটি মঞ্চে পরিণত হবে, নাকি ভূরাজনৈতিক দিক থেকে এ অঞ্চলের যে কৌশলগত গুরুত্ব, সেটাকে কার্যকরভাবে ব্যবহার করা যাবে, সেটা নির্ভর করবে ‘সিফাইভ প্লাস ওয়ান’-এর মতো প্ল্যাটফর্মগুলোর সফলতার ওপর।

ওয়াশিংটন, বেইজিং ও মস্কোর নীতিনির্ধারকদের অবশ্যই মধ্য এশিয়ার এই গতিশীলতাকে বুঝতে হবে। গঠনমূলক উপায়ে সেখানে সম্পৃক্ত হওয়ার পথ খুঁজতে হবে। সেটা শুধু মধ্য এশিয়ার স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধির জন্য গুরুত্বপূর্ণ নয়, বৃহত্তর ইউরেশিয়ার জন্যও গুরুত্বপূর্ণ।

  • মিরাস ঝায়েনবায়েভ, কাজাখস্তানের আস্তানায় মাকসুত নারিকবায়েভ ইনস্টিটিউট ফর নেটওয়ার্কিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ফরেন পলিসি অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ প্রোগ্রামের প্রধান

    এশিয়া টাইমস থেকে নেওয়া, ইংরেজি থেকে সংক্ষিপ্তাকারে অনূদিত

Sunday, 29 December 2024

দক্ষিণ কোরিয়ার ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বিমান দুর্ঘটনা, নিহত ১৭৯ পাখি নাকি যান্ত্রিক ত্রুটি, কারণ নিয়ে ধন্দে বিশেষজ্ঞরা











 দক্ষিণ কোরিয়ার জেজু এয়ার সংস্থার একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়ে ১৭৯ জন প্রাণ হারিয়েছে। ওই ফ্লাইটে ১৮১ জন আরোহী ছিলেন। এদের মধ্যে ১৭৫ জন যাত্রী এবং ৬ জন ক্রু । কেবল দুইজন ক্রুকে জীবিত উদ্ধার করা গেছে। দক্ষিণ কোরিয়ার ইতিহাসে এটিই সবচেয়ে বড় বিমান দুর্ঘটনা।

থাইল্যান্ডের ব্যাংকক থেকে এসে গতকাল রোববার সকাল ৯টার দিকে (স্থানীয় সময়দক্ষিণ কোরিয়ার মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময়বোয়িং ৭৩৭৮০০ বিমানটি দুর্ঘটনায় পড়ে। চাকা না খোলায় অবতরণের পর বিমানটি রানওয়েতে ছেঁচড়ে গিয়ে বিমানবন্দরের দেয়ালে ধাক্কা খায় এবং অগ্নিগোলকে পরিণত হয়। মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর রাজধানী সিউল থেকে ২৮৮ কিলোমিটার দূরে। মধ্য আকারের এই বিমানবন্দরটি ২০০৭ সালে চালু করা হয়েছিল। এখান থেকে এশিয়ার বিভিন্ন গন্তব্যে বিমান চলাচল করে। দুর্ঘটনার পর সেখানে সব ধরনের ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। ফ্লাইট ৭সি২২১৬ এর যাত্রীদের মধ্যে ১৭৩ জনই ছিলেন দক্ষিণ কোরিয়ার নাগরিকদুইজন থাই।

দক্ষিণ কোরিয়ার এক কর্মকর্তা জানানবিমানটি অবতরণের প্রস্তুতি নেওয়ার সময় এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল থেকে পাখির সঙ্গে সংঘর্ষের সতর্কবার্তা দেওয়া হয়। ফলে পাইলট না নেমে আকাশে ভেসে থাকতে বাধ্য হন। দুই মিনিট পর পাইলট ‘মে ডে’ ঘোষণা করলে (বিপদে পড়ার সংকেতএয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল অবতরণের অনুমতি দেয়। বিমানটি উল্টো দিক থেকে রানওয়েতে নেমে এলেও ল্যান্ডিং গিয়ার কাজ না করায় চাকা ছাড়াই সেটি নেমে আসে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়জোড়া ইঞ্জিনের বিমানটি চাকা ছাড়াই রানওয়ে দিয়ে অনেক দূর পর্যন্ত ছেঁচড়ে যায়তারপর রানওয়ে থেকে বেরিয়ে গিয়ে বিমানবন্দরের দেয়ালে ধাক্কা খায়। সঙ্গে সঙ্গে বিস্ফোরণে এতে আগুন ধরে যায় এবং এর ধ্বংসাবশেষ ছড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন দিকে। মুয়ানের ফায়ার সার্ভিস প্রধান লি জুংহিউন বলেনদুর্ঘটনার পর কেবল লেজের কিছুটা অংশ আস্ত আছেবাকি অংশ আর চেনার উপায় নেই।

জেজু এয়ার এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘মুয়ান বিমানবন্দরের দুর্ঘটনায় যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন আমরা জেজু এয়ারের পক্ষ থেকে তাদের প্রত্যেকের কাছে মাথা নত করে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। এই ঘটনায় সাড়া দিয়ে যা যা করতে পারবো তার সবাই করবো আমরা। এই বিপর্যয়ের জন্য আমরা দুঃখিত।’

বিবিসি লিখেছে২০০৫ সালে প্রতিষ্ঠিত জেজু এয়ার দক্ষিণ কোরিয়ার অন্যতম শীর্ষ বাজেট এয়ারলাইন। তাদের কোনো উড়োজাহাজ এই প্রথম প্রাণঘাতী দুর্ঘটনায় পড়ল। এমন এক সময়ে এই দুর্ঘটনা ঘটলযখন দক্ষিণ কোরিয়া ব্যাপক রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। নতুন ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট চোই সুংমককে দায়িত্ব নেওয়ার দুই দিনের মাথায় এই সংকট মোকাবিলা করতে হচ্ছে।

এ দুর্ঘটনার আসল কারণ কি তা নিয়ে ধন্দে পড়েছেন বিশেষজ্ঞরা। দুর্ঘটনার কারণের প্রাথমিক তদন্তে বলা হচ্ছেপাখির সঙ্গে সংঘর্ষে বিমানের ল্যান্ডিং গিয়ারে জটিলতা তৈরি হয়। চাকা না খোলায় অবতরণের পর বিমানটি রানওয়েতে ছেঁচড়ে গিয়ে বিমানবন্দরের দেয়ালে ধাক্কা খায় এবং অগ্নিগোলকে পরিণত হয়। কিন্তু বিমানবিধ্বস্তের আসল কারণ কি তা নিয়ে এখনও রয়ে গেছে সংশয়। বিশ্লেষকদের কেউ কেউ এর যান্ত্রিক ত্রুটিসহ অন্যান্য আরও কিছু কারণের কথা উল্লেখ করেছেন। যেমনউড়োজাহাজের দুটো ইঞ্জিন কাজ না করা এবং গতি নিয়ন্ত্রণের জন্য দুইপাশে থাকা ব্রেক কাজ না করা। তাদের মতেকেবল পাখির সঙ্গে ধাক্কা লাগার কারণে উড়োজাহাজের সব গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্র এভাবে একসঙ্গে বিকল হতে পারে না। তাছাড়াপাখির আঘাতের কারণে ল্যান্ডিং গিয়ার বিকল হওয়ার সম্ভাবনাও নেই বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। এয়ারলাইন নিউজ এডিটর জিওফ্রি থমাস বলেন, ‘পাখির সঙ্গে ধাক্কা সচরাচর ঘটেই থাকে। আবার উড়োজাহাজের চাকায় সমস্যা হওয়ার ঘটনাও বিরল নয়। পাখির সঙ্গে ধাক্কার ঘটনা আরও ঘন ঘনই হয়। তবে তাতে সাধারণত গোটা উড়োজাহাজ নিয়ন্ত্রণ হারায় না।’

অস্ট্রেলিয়ার উড়োজাহাজ চলাচল বিষয়ক নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ জিওফ্রি ডেল বলেন, ‘পাখির আঘাত ল্যান্ডিং গিয়ার বন্ধ করতে পারেএমন নজির আমি দেখিনি।’

Search This Blog

Powered by Blogger.