Showing posts with label শিক্ষা. Show all posts
Showing posts with label শিক্ষা. Show all posts

Wednesday, 30 April 2025

জাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা

 

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান জাকসু নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেন৷ আগামী ৩১ জুলাই জাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। 
বুধবার (৩০ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবনের কাউন্সিল কক্ষে তফসিল ঘোষণা করেন জাকসু নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মো. মনিরুজ্জামান। এ সময় নির্বাচন কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. খো. লুৎফুল এলাহী, ড. রেজওয়ানা করিম স্নিগ্ধা ও সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. এ. কে. এম. রাশিদুল আলম উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে রাত পৌনে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান জাকসু নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেন।
শিক্ষার্থী সংসদের গঠনতন্ত্রের ৮ ধারা ও উপাচার্যের ঘোষিত নির্বাচন অনুষ্ঠানের তারিখ অনুযায়ী নির্বাচনের সময়সূচি ঘোষণা করা হলো। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ ১২ মে, খসড়া আচরণবিধি প্রকাশ ১২ মে, খসড়া ভোটার তালিকা সম্পর্কে আপত্তি গ্রহণের শেষ তারিখ ২১ মে বিকেল ৫টা পর্যন্ত, খসড়া আচরণবিধি সম্পর্কে মতামত গ্রহণের শেষ তারিখ ২১ মে বিকেল ৫টা পর্যন্ত, চূড়ান্ত হালনাগাদ ভোটার তালিকা প্রকাশ ৩০ জুন, চূড়ান্ত আচরণবিধি প্রকাশ ৩০ জুন।
এ ছাড়া মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ১ জুলাই থেকে ৩ জুলাই পর্যন্ত, মনোনয়নপত্র জমাদান ১ জুলাই থেকে ৭ জুলাই পর্যন্ত, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ও খসড়া প্রার্থী তালিকা প্রকাশ ৯ জুলাই, মনোনয়নপত্রের বৈধতার বিষয়ে এবং বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল আবেদন গ্রহণ ১১ জুলাই, আপিলের শুনানি গ্রহণ ও আপিলের রায় ঘোষণা ১৩ জুলাই, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৪ জুলাই, প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ ১৫ জুলাই, নির্বাচনী প্রচারণা ১৬ জুলাই থেকে ২৮ জুলাই রাত ১২টা পর্যন্ত।
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করা হবে ১৬ জুলাই, ভোটগ্রহণ ৩১ জুলাই সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। ওইদিন ভোট গণনা ও ফলাফল প্রকাশ করা হবে। 
মেহেরব হোসেন/এমজে


Wednesday, 23 April 2025

স্টাডি ইন অস্ট্রেলিয়া এক্সপো কাল


 

মেন্টরস চট্টগ্রামের উদ্যোগে আগামীকাল মঙ্গলবার (১৪ই জানুয়ারি) চট্টগ্রামের পাঁচ তারকা হোটেল রেডিসন ব্লু বে ভিউতে অনুষ্ঠিত হবে ‘স্টাডি ইন অস্ট্রেলিয়া এক্সপো ২০২৫‘। এই এক্সপো প্রোগ্রাম চলবে সকাল ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। এতে অংশগ্রহণ করবে অস্ট্রেলিয়ার শীর্ষস্থানীয় ১৮টি বিশ্ববিদ্যালয়। এর মধ্যে ম্যাকুয়েরি ইউনিভার্সিটি, দ্যা ইউনিভার্সিটি অফ ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া,কার্টিন ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অফ তাসমানিয়া ছাড়াও রয়েছে আরও কিছু স্বনামধন্য ইউনিভার্সিটি।
এসব ইউনিভার্সিটির প্রতিনিধিগণ পরামর্শ দিবেন এবং ভর্তির যোগ্যতা যাচাই করে স্পট এডমিশনের সুযোগ দিবেন। ভর্তির যাবতীয় তথ্য, স্কলারশিপ সুবিধা এবং ভিসা প্রসেস সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য এই মেলায় জানা যাবে। মেলায় ইউনিভার্সিটির প্রতিনিধিবৃন্দ ছাড়াও মেন্টরস চট্টগ্রাম ও ঢাকার অভিজ্ঞ কাউন্সিলরগণ উপস্থিত থাকবেন। তারা আগ্রহী শিক্ষার্থীদের সকল ধরনের সার্বিক সহযোগিতা করবেন। এই শিক্ষা মেলা সবার জন্য উন্মুক্ত। আগ্রহীদের মেলায় আসার সময় যাবতীয় ডকুমেন্টের স্ক্যান কপি সাথে রাখার জন্য অনুরোধ জানানো যাচ্ছে। বিস্তারিত জানতে যোগাযোগ করুন : ০১৭১৩২৪৩৪৩২০১৬৮৮৪৫৪৫৪৫

Sunday, 29 December 2024

নতুন শিক্ষাবর্ষের বিপুলসংখ্যক বই ছাপাই হয়নি পুরোনো শিক্ষাক্রমে ফিরে যাওয়া। ৪৪১টি পাঠ্যবই পরিমার্জন। মোট বইয়ের সংখ্যাও বেড়েছে।


 মাত্র দুই দিন পরই শুরু হচ্ছে নতুন শিক্ষাবর্ষ। কিন্তু এখনো প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের বিপুলসংখ্যক বই ছাপার কাজ শেষ করতে পারেনি জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। মোট ৪০ কোটির বেশি বইয়ের মধ্যে গত শনিবার পর্যন্ত পৌনে ৫ কোটি বই উপজেলা পর্যায়ে পাঠানোর জন্য ছাড়পত্র বা পিডিআই হয়েছে।

এর ফলে এবার নতুন বছরের প্রথম দিনে সারা দেশে সব শিক্ষার্থী সব বই পাবে না। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সব শ্রেণির শিক্ষার্থীদের হাতে অন্ততপক্ষে তিনটি করে নতুন বই (বাংলা, ইংরেজি ও গণিত) দিয়ে শিক্ষাবর্ষ শুরু করার পরিকল্পনা করছে এনসিটিবি। কিন্তু বই ছাপার যে পরিস্থিতি, তাতে সেই পরিকল্পনাও পুরোপুরি বাস্তবায়িত হবে কি না, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।

জানতে চাইলে এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ কে এম রিয়াজুল হাসান গতকাল রোববার আশা প্রকাশ করে প্রথম আলোকে বলেছেন, বছরের প্রথম দিনেই সব শিক্ষার্থী অন্তত তিনটি করে বই পাবে। এর মধ্যে প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীরা বাংলা, ইংরেজি ও গণিত বিষয়ের পাশাপাশি অন্যান্য বিষয়ের কিছু বইও পাবে। ৫ জানুয়ারির মধ্যে চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির সব বই পৌঁছে যাবে। ষষ্ঠ, সপ্তম, অষ্টম, নবম ও দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য তিনটি করে বই বছরের প্রথম দিনে যাবে। এসব শ্রেণির আরও ৫টি করে বই ১০ জানুয়ারির মধ্যে যাবে। বাকি বইগুলো ২০ জানুয়ারির মধ্যে সব শিক্ষার্থীর হাতে যাবে।

তবে এনসিটিবি ও মুদ্রণকারী সূত্র বলছে, প্রাথমিকের প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পাঠ্যবই ছাপায় অগ্রগতি ভালো। চতুর্থ থেকে নবম শ্রেণির পাঠ্যবই ছাপার অগ্রগতি খুবই কম। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর শিক্ষাক্রম পরিবর্তন, পাঠ্যবই পরিমার্জন, আগের দরপত্র বাতিল করে নতুন দরপত্র দেওয়া, দেরি করে পরিদর্শন প্রতিষ্ঠান চূড়ান্ত করাসহ ছাপাসংক্রান্ত কাজে বিলম্বের কারণে এবার এ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এখনো বেশ কিছু পরিমাণ বই ছাপার জন্য মুদ্রণকারীদের সঙ্গে চুক্তিপত্র সইয়ের কাজটিও শেষ হয়নি। ফলে ফেব্রুয়ারির আগে সব শিক্ষার্থীর হাতে সব বই পৌঁছানো কঠিন হবে।

ষষ্ঠ, সপ্তম, অষ্টম, নবম ও দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য তিনটি করে বই বছরের প্রথম দিনে যাবে। এসব শ্রেণির আরও ৫টি করে বই ১০ জানুয়ারির মধ্যে যাবে। বাকি বইগুলো ২০ জানুয়ারির মধ্যে সব শিক্ষার্থীর হাতে যাবে।

দেশে উৎসব করে বছরের প্রথম দিন শিক্ষার্থীদের হাতে পাঠ্যবই তুলে দেওয়ার রেওয়াজ শুরু হয় ২০১০ সালে। তবে বিগত দু-তিন বছর শিক্ষাবর্ষের শুরুতে ১ জানুয়ারি উৎসব করে বই বিতরণ শুরু হলেও কিছু ক্ষেত্রে সব শিক্ষার্থীর হাতে সব নতুন বই দেওয়া যায়নি। আসন্ন শিক্ষাবর্ষে উৎসব করে বই দেওয়া হবে না।

এনসিটিবি সূত্রে জানা গেছে, এবার প্রাক্‌–প্রাথমিক পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠ্যবইয়ের সংখ্যা ৯ কোটি ৬৪ লাখের মতো। এর মধ্যে শনিবার পর্যন্ত ছাপা হয়েছে ৪ কোটি ৩৫ লাখের বেশি। এর মধ্যে ৩ কোটি ৪৭ লাখের মতো বইয়ের ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।

মাধ্যমিকে (মাদ্রাসার ইবতেদায়িসহ) মোট বইয়ের সংখ্যা ৩০ কোটি ৯৬ লাখের মতো। এর মধ্যে শনিবার পর্যন্ত ১ কোটি ৩২ লাখের মতো বইয়ের ছাড়পত্র হয়েছে। অবশ্য এনসিটিবির চেয়ারম্যান প্রথম আলোকে বলেছেন, ছাপা বইয়ের সংখ্যা আরও বেশি। দুই দিনে আরও বিপুলসংখ্যক বইয়ের ছাড়পত্র হয়ে যাবে।

কাগজের সংকট, পুনরায় দরপত্র ও কার্যাদেশ দেরিতে দেওয়াসহ আনুষঙ্গিক কাজগুলোতে দেরি করেছে এনসিটিবি। ফলে সব শিক্ষার্থীর হাতে সব বই তুলে দিতে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় লেগে যেতে পারে।

রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর নতুন শিক্ষাক্রম কার্যত বাতিল হয়ে গেছে। এরপর এক যুগ আগে তৈরি পুরোনো শিক্ষাক্রমের আলোকে পাঠ্যবই দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। সে জন্য এবার বিশেষজ্ঞদের দিয়ে ৪৪১টি বই পরিমার্জন করে এনসিটিবি। এ প্রক্রিয়ায় পাঠ্যবইয়ের বিষয়বস্তুতে ব্যাপক পরিবর্তন আনা হয়েছে। পাঠ্যবইয়ে বেশ কিছুসংখ্যক গদ্য, প্রবন্ধ, উপন্যাস ও কবিতা বা বিষয়বস্তু বাদ দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি নতুন করে স্থান পাচ্ছে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বিষয়বস্তুসহ নতুন কিছু গল্প-কবিতা। পুরোনো শিক্ষাক্রমে ফিরে যাওয়ায় এবার মোট বইয়ের সংখ্যাও বাড়ছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে মুদ্রণকারীদের একজন নেতা প্রথম আলোকে বলেন, এবার কয়েকটি কারণে পাঠ্যবই নিয়ে সমস্যাটি হয়েছে। প্রথমত, শিক্ষাক্রম পরিবর্তন করে বইগুলো পরিমার্জন করতে দেরি হয়েছে। এ ছাড়া কাগজের সংকট, পুনরায় দরপত্র ও কার্যাদেশ দেরিতে দেওয়াসহ আনুষঙ্গিক কাজগুলোতে দেরি করেছে এনসিটিবি। ফলে সব শিক্ষার্থীর হাতে সব বই তুলে দিতে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় লেগে যেতে পারে।

নতুন বছরে মাধ্যমিকে যেভাবে ক্লাস-পরীক্ষা ও মূল্যায়ন


 বছর মাধ্যমিকের ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণিতে কতগুলো ক্লাসকোন বিষয়ে কত নম্বরে অর্ধবার্ষিক ও বার্ষিক পরীক্ষা এবং মূল্যায়ন কীভাবে হবে তা তুলে ধরেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডএনসিটিবি। গতকাল শনিবার এনসিটিবির ওয়েবসাইটে বিষয় কাঠামোনম্বর ও মূল্যায়ন পদ্ধতি প্রকাশের তথ্য দিয়েছেন এনসিটিবির সচিব শাহ্‌ মুহাম্মদ ফিরোজ আল ফেরদৌস।

ষষ্ঠঅষ্টম শ্রেণি এনসিটিবির বিষয় কাঠামো অনুসারেআগামী বছর ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের দশটি বিষয়ে পড়ানো হবে। এর মধ্যে নয়টি আবশ্যিক ও একটি থাকবে ঐচ্ছিক বিষয়। আবশ্যিক নয়টি বিষয়ের অর্ধবার্ষিক ও বার্ষিক পরীক্ষায় মূল্যায়ন হবে লিখিত পরীক্ষার ভিত্তিতে। আর ঐচ্ছিক বিষয়ে হবে শ্রেণি কাজঅনুসন্ধানপ্রজেক্টঅ্যাসাইনমেন্ট ও শ্রেণি অভীক্ষার সমন্বয়ে ধারাবাহিক মূল্যায়ন।

অর্ধবার্ষিকী ও বার্ষিক পরীক্ষায় আবশ্যিক বিষয়গুলোর মধ্যে বাংলা প্রথম পত্রে ১০০দ্বিতীয় পত্রে ৫০ইংরেজি প্রথম পত্রে ১০০ইংরেজি দ্বিতীয় পত্রে ৫০গণিতে ১০০বিজ্ঞানে ১০০বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়ে ১০০তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিতে ৫০ ও ধর্মে ১০০ নম্বর থাকবে। খবর বিডিনিউজের।

আরবিসংস্কৃতপালিশারীরিক শিক্ষা ও স্বাস্থ্যকর্ম ও জীবনমুখী শিক্ষাকৃষি শিক্ষাগার্হস্থ্যবিজ্ঞানচারু ও কারুকলা ও সংগীতের যেকোনো একটি ঐচ্ছিক বিষয় পড়তে হবে। এ বিষয়গুলোর অর্ধবার্ষিকী ও বার্ষিক পরীক্ষা হবে ৫০ নম্বরে। ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের প্রতি সপ্তাহে ৩০টি পিরিয়ড বা ক্লাস হবে। এর মধ্যে বাংলা প্রথম পত্রে তিনটিবাংলা দ্বিতীয় পত্রে দুইটিইংরেজি প্রথম পত্রে চারটিইংরেজি দ্বিতীয় পত্রে দুইটিগণিতে পাঁচটিবিজ্ঞানে পাঁচটিবাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়ে তিনটিতথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিতে দুইটিধর্মে তিনটি ও ঐচ্ছিক বিষয়ের একটি পিরিয়ড হবে প্রতি সপ্তাহে।

ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণিতে রোববার থেকে বৃহস্পতিবার প্রতিদিন ছয়টি ক্লাস হবে। এক শিফটের স্কুলগুলোতে প্রথম ক্লাস হবে ৬০ মিনিট ও পরের ক্লাসগুলো হবে ৫০ মিনিটের। স্কুলে প্রতিদিনের প্রারম্ভিক সমাবেশ হবে ১৫ মিনিট আর টিফিন বিরতি হবে ৫০ মিনিট। এক শিফটের স্কুলের মোট সময় হবে ৬ ঘণ্টা। অপরদিকে দুই শিফটের স্কুলে এসব শ্রেণিতে প্রথম ক্লাস হবে ৪৫ মিনিটের আর অন্যান্য ক্লাস হবে ৪০ মিনিটের। প্রারম্ভিক সমাবেশ হবে ১০ মিনিট আর টিফিনের বিরতি থাকবে ১৫ মিনিট। দুই শিফটের স্কুলের প্রতি শিফটের মোট সময় হবে ৪ ঘণ্টা ৩০ মিনিট।

নবমদশম শ্রেণি আগামী বছর নবম ও দশম শ্রেণিতে নয়টি আবশ্যিক বিষয়বিভাগভিত্তিক চারটি বিষয় ও একটি ঐচ্ছিক বিষয় পড়ানো হবে। অর্ধবার্ষিকী ও বার্ষিক পরীক্ষায় নবম ও দশম শ্রেণিতে আবশ্যিক বিষয় হিসেবে বাংলা প্রথম পত্রে ১০০দ্বিতীয় পত্রে ১০০ইংরেজি প্রথম পত্রে ১০০দ্বিতীয় পত্রে ১০০গণিতে ১০০ধর্মে ১০০তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিতে ৫০ ক্যারিয়ার শিক্ষায় ৫০শারীরিক শিক্ষাস্বাস্থ্য বিজ্ঞান ও খেলাধুলায় ৫০ নম্বর থাকবে।

এ দুই শ্রেণির অর্ধবার্ষিক ও বার্ষিক পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগের পদার্থবিজ্ঞানে ১০০রসায়নে ১০০জীববিজ্ঞান বা উচ্চতর গণিতে ১০০বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়ে ১০০ নম্বর থাকবে।

নবম ও দশম শ্রেণির মানবিক শাখায় দুই পরীক্ষায় বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্ব সভ্যতায় ১০০ভূগোল ও পরিবেশে ১০০অর্থনীতি বা পৌরনীতি ও নাগরিকতা ১০০বিজ্ঞানে ১০০ নম্বর থাকবে। ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের নবম ও দশম শ্রেণির অর্ধবার্ষিক ও বার্ষিক পরীক্ষায় ব্যবসায় উদ্যোগে ১০০হিসাববিজ্ঞানে ১০০ফিন্যান্স ও ব্যাংকিংয়ে ১০০ এবং বিজ্ঞানে ১০০ নম্বর থাকবে।

জীববিজ্ঞানউচ্চতর গণিতভূগোল ও পরিবেশকৃষিশিক্ষাগার্হস্থ্য বিজ্ঞানঅর্থনীতিপৌরনীতি ও নাগরিকতাচারু ও কারুকলা ও সংগীতের যেকোন একটি বিষয়ে ঐচ্ছিক বা চতুর্থ বিষয়ে অর্ধবার্ষিক বা বার্ষিক পরীক্ষা হবে ১০০ নম্বরে। অন্যান্য বিষয়গুলোতে লিখিত ও সামষ্টিক মূল্যায়ন বা পরীক্ষা হলেও ক্যারিয়ার শিক্ষা এবং শারীরিক শিক্ষাস্বাস্থ্য বিজ্ঞান ও খেলাধুলায় বিষয়ে ধারাবাহিক মূল্যায়ন হবে।

নবম ও দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের প্রতি সপ্তাহে ৩৫টি পিরিয়ড বা ক্লাস হবে। প্রতি সপ্তাহে বাংলা প্রথম পত্রে তিনটিবাংলা দ্বিতীয় পত্রে দুটিইংরেজি প্রথম পত্রে চারটিইংরেজি দ্বিতীয় পত্রে দুইটিগণিতে পাঁচটিধর্মে দুইটিতথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিতে একটি এবং ক্যারিয়ার শিক্ষা ও শারীরিক শিক্ষাস্বাস্থ্য বিজ্ঞান ও খেলাধুলা বিষয়ে একটি ক্লাস হবে। এ ছাড়া বিভাগ ভিত্তিক বিষয়গুলোতে ও ঐচ্ছিক বিষয়ে সপ্তাহে তিনটি করে ক্লাস হবে।

এক শিফটের স্কুলে নবম ও দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের প্রথম ক্লাস হবে ৬০ মিনিট ও পরবর্তী ক্লাসগুলো হবে ৫০ মিনিটের। এক শিফটের স্কুলে প্রতিদিনের সমাবেশ হবে ১৫ মিনিট ও টিফিন বিরতি হবে ৩৫ মিনিট। মোট সময় হবে ৬ ঘণ্টা ৫০ মিনিট। দুই শিফটের স্কুলে নবম ও দশম শ্রেণির প্রথম ক্লাস হবে ৪৫ মিনিট ও পরবর্তী ক্লাসগুলো হবে ৪০ মিনিট। প্রারম্ভিক সমাবেশ হবে ১০ মিনিট ও টিফিন বিরতি হবে ১৫ মিনিট। মোট সময় হবে ৫ ঘণ্টা ১০ মিনিট।

ধারাবাহিক মূল্যায়ন মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের ধারাবাহিক মূল্যায়নের ক্ষেত্রে ঐচ্ছিক বিষয়ে শ্রেণির কাজে ২০অনুসন্ধানমূলক কাজপ্রজেক্ট ও অ্যাসাইনমেন্ট ১০শ্রেণি অভীক্ষায় ২০ নম্বর থাকবে।

শ্রেণি কাজের অন্তর্ভুক্ত হবে প্রশ্নের উত্তর লেখামৌখিক উপস্থাপনাছবিচিত্রসারণিমানচিত্রলেখাচিত্র আঁকাবিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ ভূমিকাভিনয়ব্যবহারিক কাজ ও আরবিসংস্কৃত ও পালি বিষয়ের জন্য শোনাবলাপড়া ও লেখা ইত্যাদি।

শিক্ষার্থীদের চিন্তন দক্ষতা ও সৃজনশীলতার বিকাশ ঘটে এমন হাতে কলমে কাজব্যবহারিক কাজপ্রজেক্ট তৈরিমডেল তৈরিঅ্যাসাইনমেন্টসীমিত পরিসরে অনুসন্ধানমূলক কাজ ও প্রতিবেদন প্রণয়ন ও উপস্থাপনা দেওয়া যাবে।

শ্রেণি অভীক্ষা হবে লিখিত ও ব্যবহারিক কাজে। লিখিত অংশের জন্য নির্বাচনধর্মী বা সরবরাহকর্মীর কাজ থাকতে পারে। এ অংশে বহুনির্বাচনি প্রশ্নসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তররচনামূলক প্রশ্ন থাকবে। শ্রেণি অভীক্ষা এক পিরিয়ড সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে। শ্রেণি অভীক্ষা নেওয়ার দিন অন্যান্য পিরিয়ডের স্বাভাবিক কার্যক্রম যথারীতি চলবে।

ধারাবাহিক মূল্যায়নে প্রাপ্ত নম্বর শিক্ষার্থীর রিপোর্ট কার্ডে প্রদর্শন করতে হবে। তবে শিক্ষার্থীর ফলাফল ও গ্রেড নির্ধারণে ধারাবাহিক মূল্যায়নে প্রাপ্ত নম্বর অন্তর্ভুক্ত হবে না।

বাড়ানো যাবে উচ্চতর গণিতের ক্লাস এনসিটিবি বলছেপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক সংখ্যা ও ভৌত অবকাঠামো বিবেচনা করে স্ব স্ব প্রতিষ্ঠান উচ্চতর গণিতের ক্লাস বা পিরিয়ড সংখ্যা বাড়াতে পারবে। আর ইংরেজিগণিতউচ্চতর গণিতবিজ্ঞানের বিষয়গুলোর ক্লাস রুটিনে টিফিন বিরতির আগে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয় বিবেচনা করতে বলেছে এনসিটিবি।

Search This Blog

Powered by Blogger.