Tuesday, 24 December 2024

কলকাতার কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন পি কে হালদার

বাংলাদেশের বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে তিন হাজার কোটি টাকার বেশি অর্থ পাচারের ঘটনায় অভিযুক্ত প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদার আড়াই বছর পর কলকাতার কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে তিনি কলকাতার আলিপুরের প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগার থেকে মুক্তি পান। কারাগার থেকে বেরোনোর সময় পি কে হালদার সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি এখন কিছু বলব না। পরে বলব। আমি আমার আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলে পরে সব কিছু জানাব।’ এরপর কারাগারের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা একটি গাড়িতে চড়ে ওই স্থান ত্যাগ করেন পি কে হালদার। গত শুক্রবার পি কে হালদারের জামিন মঞ্জুর করে কলকাতার একটি আদালত। শর্তসাপেক্ষে ১০ লাখ রুপির ব্যক্তিগত বন্ডে তাঁকে জামিন দেওয়া হয়। সোমবার আদালতে সেই বন্ড জমা পড়ে। এরপর আদালত থেকে সেই কপি প্রেসিডেন্সি কারাগারে যাওয়ার পর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তিনি ছাড়া পান। পি কে হালদারের সঙ্গে ওই দিন জামিন পান তাঁর দুই সহযোগী স্বপন মিস্ত্রি ওরফে স্বপন মিত্র এবং উত্তম মিস্ত্রি ওরফে উত্তম মৈত্র। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পি কে হালদারের সঙ্গে কারাগার থেকে মুক্তি পান উত্তম মৈত্র। তবে নথি ও বন্ড–সংক্রান্ত জটিলতা থাকায় স্বপন মৈত্র কারাগার থেকে মুক্তি পাননি। এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ৯ জানুয়ারি। বাংলাদেশের চারটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে পি কে হালদার নামে-বেনামে সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা বের করে নিয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। ২০২২ সালের মে মাসে পশ্চিমবঙ্গের রাজারহাটের একটি হোটেল থেকে পি কে হালদারকে গ্রেপ্তার করে ভারতে আর্থিক দুর্নীতি বিষয়ে তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। পরে নানা জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালিয়ে হালদারের আরও পাঁচ সহযোগীকে গ্রেপ্তার করা হয়। বাংলাদেশে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে করা দুদকের মামলায় গত বছরের অক্টোবরে পি কে হালদারকে ২২ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত।

No comments:

Post a Comment

Search This Blog

Powered by Blogger.